মেনু

বিশ্বনাথে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টায় ছাত্রদল নেতা জুনেদ গ্রেফতার

মানব পাচার মামলার বাদীকে অস্ত্র দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টায় অভিযোগে থানায় দায়ের করা মামলায় সিলেটের বিশ্বনাথ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম জুনেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার নওধার গ্রামের মৃত আলকাছ আলীর পুত্র।সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে থানার পিএসআই ফজলুল হকের নেতৃত্বে  নিজ বাড়ি থেকে জুনেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এর আগে গত বুধবার রাতে থানা পুলিশ উপজেলার রাজনগর গ্রামের মৃত আত্তর আলীর পুত্র আবদুল কাদির (৪০), রামপাশা (কোনাপাড়া) গ্রামের মৃত আবদুল মানিকের পুত্র আলী হায়দার মহুরী (৩৮), বিশ্বনাথ নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা আসু মিয়ার পুত্র আবুল কালাম (৩০)’কে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, রেজাউল ইসলাম রাজুর দায়ের করা মামলার প্রধান অভিযুক্ত উপজেলার কাঠলীপাড়া গ্রামের মৃত চমক আলীর পুত্র রফিকুল ইসলামকে প্রধান অভিযুক্ত করাসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ ও ১০/১১ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত রেখে গত ১৬ মে মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনে এ মামলা দায়ের করেন।
বর্তমানে মামলাটি সিআইডিতে তদন্তধীন রয়েছে। এ মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামসহ অপর আসামিরা বাদী (রাজু) ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণী করাসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে আসছে।
এমতাবস্থায় গত ২৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নিজ বাড়িতে থাকা বাদীকে মামলার প্রথম সাক্ষী দেলোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে তাকে জানায় উক্ত মামলার অভিযুক্ত আলী হায়দার মহুরী ও রফিকুল ইসলামের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত আবদুল কাদির ও আবুল কালাম যোগাযোগ করে বাদী (রাজু) ও সাক্ষী দিলোয়ার হোসেনকে অস্ত্র দিয়ে একটি মিথ্যা মামলায় জড়ানোর জন্য গত এক সপ্তাহ পূর্বে ২ লাখ টাকায় চুক্তি করেছে। সেই মোতাবেক প্রধান অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম, গ্রেফতারকৃত আলী হায়দার মহুরী ও অপর অভিযুক্ত শাহিন আহমদ তাদেরকে (কাদির ও কালাম) ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়েছে। কিন্তু টাকা ভাগভাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে সমস্যা হওয়ায় কাদির ও কালাম অপর অভিযুক্ত আলী হায়দার মহুরীর কাছে টাকা ফেরত চায়।বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় রামপাশা বাজারের সবুজ মিয়ার চায়ের দোকানে অভিযুক্ত কাদির, আবুল কালাম অপর অভিযুক্ত আলী হায়দার মহুরীকে ডেকে এনে বাদিকে অস্ত্র মামলায় জড়ানোর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এসময় তাদের মধ্যে কথাকাটাটি সৃষ্টি হলে সাক্ষীসহ স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে বাদী রেজাউল ইসলাম রাজুকে বিষয়টি অবহিত করলে বাদি তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তারকৃত আলী হায়দার মহুরীর কাছ থেকে বিস্তারিত জানেন। তিনি তাৎক্ষনিক বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে  উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ৩ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাদী রেজাউল ইসলাম রাজুকে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় জড়ানোর পায়তারার কথা স্বীকার করে গ্রেফতারকৃতরা (আবদুল কাদির, আলী হায়দার মহুরী, আবুল কালাম)। এরপর রাজু মানব পাচারকারী রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরোও ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার অপর আরেক অভিযুক্ত হলেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী (চেরাগী) গ্রামের সৈয়দ আলীর পুত্র শাহিন আহমদ (৩০)।