মেনু

প্রধান মন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষে কামনা

রুপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কতিপয় কর্মকর্তা ও কয়েকজন দোভাষীর সহযোগিতায় চাকরী দেওয়ার নামে গড়ে তোলা প্রতারক চক্রের বিচার দাবি

ঈশ্বরদী ॥ রুপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কতিপয় কর্মকর্তা ও কয়েকজন দোভাষীর সহযোগিতায় চাকরী দেওয়ার নামে গড়ে তোলা প্রতারক চক্রের দু’সদস্যকে গ্রেফতার করার পর সোমবার সকালে প্রতারণার শিকার ১৯ ব্যক্তি বিচারের আশায় ঈশ্বরদী থানায় ভিড় করেন। তারা থানা পুলিশের নিকট সুষ্ঠ আইনী সহযোগিতা ও অপরাধীদের নিকট বিচার দাবি করেন। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রকৃত প্রতারকদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেওয়া হয়। এসময় লাখ লাখ টাকা প্রতারণার শিকার হওয়া চাকরি বঞ্চিত ব্যক্তিদের মধ্যে ফেনি জেলার ফুলগাজী থানার মনতলা গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে সাইফুল ইসলাম,এমডি সুরুজ মিয়া,ফেনির সোহাগসহ ব্যক্তিরা সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন,আমরা ১০ ব্যক্তি গত ২২ অক্টোবর/১৯ ঈশ্বরদীর রুপপুর জিগাতলা এসে দৌলত পুর কুষ্টিয়ার আসামি শাওনের কথামত পরমাণু কেন্দ্রের মনতাজ কোম্পানীতে চাকরী নিতে এসে কাগজপত্র জমা দেই। তখন ৩ নং আসামি শাওন ও ৪ নং আসামি আশরাফুল ইসলাম (মোবাইল ০১৭৮০৩৩১৯২২) ও ৫ নং আসামি শফিকুল ইসলামকে দোভাষী ও ইঞ্জনিয়ার বলে পরিচয় করে দেয়। তখন তারা াামাদের চাকরীর ব্যবস্থা করে দেবে বলে জানায় এবং কাগজ পত্র তৈরী বাবদ ১৯ জনের নিকট থেকে নগদ ১ লাখ টাকা নেন। আসামি সাইফুল,শফিকুল, মহন ও আশনাফ পরবর্তীতে গেইট পাশ ও পাঞ্চ কার্ডের জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করে। এভাবে আসামিরা আমাদের নানা হয়রানী ও টাকা দাবি করে প্রতারণ করে কিন্তু চাকরি দেয়না। এ কারণে আমাদের সন্দেহ হতে থাকে। এক পর্যায়ে আমরা পুলিশে সংবাদ দেই। পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করতে পারলেও বাকিরা পলাতক রয়েছে। তারা আরও বলেন, প্রকল্পের যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য তদন্ত করে এসব অপকর্মে জড়িত কর্মকর্তা, দোভাষী ও প্রতারকদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে এবং আমাদের নিকট থেকে নেওয়া সমুদয় টাকাও ফেরত নিতে চাই। এজন্য বর্তমান সরকার ও প্রধান মন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষে কামনা করছি। উল্লেখ্য, একটি চিহ্নিত প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে চাকরী দেওয়ার নামে নানাভাবে দেশের নিরীহ বেকার যুবকদের সাথে প্রতারণা করায় রবিবার বিকেলে মহন ও লোকমান নামের দু’সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় তাদের নিকট থেকে প্রকল্পে প্রবেশের ২০ টি ভূঁয়া পাঞ্চ কার্ড ও ২০ টি গেইট পাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার ফেনি জেলার ফুলগাজী থানার মনতলা গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে তিন প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।